top of page

একা হলেই নিজের কাছে নতজানু মানুষ

একা হলেই মানুষ নিজের কাছে নতজানু কেন হয়ে যায়? এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই পাহাড় থেকে লাফ দিলাম আমি। চোখ বন্ধ করে। এক দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপ... কেননা নিজের কাছে নতজানু থাকতে আর ভাল লাগছিল না...


নিজের কাছে নতজানু হয়ে থাকতে থাকতে একজনকে বলে ছিলাম শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা হয়ে যেতে। বলেছিলাম একা থাকার পাশে কিছুটা হাহাকার নিয়ে দাঁড়াতে। সেই অভিমান আমার হাহাকারকে পাশ কাটিয়ে বেশ পৌরাণিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। আর আমি ঈশ্বরের অপেক্ষায় থেকে হয়ে গেলাম ভবঘুরে সন্ন্যাসী; যে কিনা একূলেও নেই ওকূলেও নেই। স্বর্গ আর জাহান্নামের মোহনায় দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ইস্রাফিলের সাথে তর্ক বিতর্ক শেষে ঈশ্বর বিরক্ত হয়ে আবার পৃথিবীতে নামিয়ে দিয়ে বললেন বিধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিল সেকি আমারি পানে ভুলে পরিবে না? আমি বললাম এইসব রবীন্দ্রনাথ বাদ দিয়ে বরং অ্যালেক্স টার্নার শুনো হে, নাহয় যুগের সাথে তাল মেলাতে পারবে না; কেননা লাভ ইজ অ্যা লেজারকোয়েস্ট। এইসব তালগোল পাকানো বর্ষায় তবুও কেউ হাহাকার নিয়ে দাঁড়াতে আসেনি। তাই শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে বগলে নিয়ে আমি বেশ পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে বল্লুম: নেহাৎ সত্যিকারের ইচ্ছে/ একলা ওড়ার সাহস দিচ্ছে।

ওদিকে রবীন্দ্রনাথের টিআরপি কমিয়ে দেবার জন্য সে বেশ কটমট করে আমার দিকে চেয়ে রইলো উপত্যকা থেকে। আমি চিৎকার করে বললাম ভালো নেই তুমি ছাড়া। পরে মনে হলো এই যাহ! এটা তো নগরবাউল হয়ে গেলো। ওদিকে রবীন্দ্রনাথ গান ধরলো কতবারও ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া। আমি বললাম আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব...


 
 
 

Comments


  • Facebook
  • TikTok
  • White Instagram Icon
bottom of page